coronavirus-protection |
বর্তমান বিশ্বে করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার রূপ পাল্টে ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই রোগের স্থায়ী কোন চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। তবে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য করণীয় কিছু নির্দেশনা রয়েছে।
প্রায় 200 টি দেশে coronavirus সংক্রমণ পাওয়া গেছে ও আক্রান্ত হয়েছে। এই 200 টি দেশের মধ্যে স্থানীয় সংক্রমণের বা local transmission এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে অর্থাৎ বাইরে থেকে একজন রোগী আসার পরেই আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ওই দেশেই যদি কেউ সংক্রমিত হয় সেটাকে বলা হচ্ছে স্থানীয় সংক্রমণ বা local transmission অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বিদেশে যায়নি কিন্তু বিদেশ থেকে ফেরত আশা কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারণে এই রোগের সংক্রমিত হয়েছে। এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 90 হাজারের উপরে। সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 14.5 লক্ষ্য। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন ও ইরান।যুক্তরাষ্ট্রেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম আর মৃত্যুর দিক থেকে ইতালি।
আক্রান্ত দেশের তালিকার মধ্যে যে সমস্ত দেশ local transmission এর মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে এমন দেশ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, স্থানীয় সংক্রমণ বা local transmission ছাড়া এই ভাইরাস ছড়ায় না। তাই যে দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত coronavirus ছড়ায়নি তাদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে আতঙ্কিত না হয়ে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই কেবল এই ধরনের ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই আতংকিত না হয়ে নিজে সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও সচেতন হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্বের সকল ক্ষতিগ্রস্ত দেশ সমূহের চিকিৎসকেরা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করেছে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কার না হয় ততদিন পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই একমাত্র করণীয়।
Global financial integrity এর বাংলাদেশ প্রতিবেদন 2020
বিশেষজ্ঞদের মতে আতঙ্কিত না হয়ে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই কেবল এই ধরনের ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই আতংকিত না হয়ে নিজে সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও সচেতন হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করুন।
করোনাভাইরাস |
করোনাভাইরাস এ করণীয় :
# দুই হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
# হাত দিয়ে চোখ নাক মুখ কোন জায়গায় স্পর্শ করবেন না।
# ইতিমধ্যে আক্রান্ত কোন ব্যাক্তির সংস্পর্শে যাবেন না।
# অসুস্থ পশুপাখি সংস্পর্শ পরিহার করুন।
# মাছ মাংস ডিম ভালোভাবে রান্না করে খাবেন।
# অসুস্থ হলে ঘরে যাবেন বাইরে যাওয়া যদি একান্তই জরুরী হয় তবে নাক মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করবেন।
# জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ হতে বিরত থাকুন।
# ভ্রমণ করা যদি অত্যাবশ্যাকীয় হয় তবে ভ্রমণকালীন সতর্কতা মেনে চলুন।
বিদেশ থেকে দেশে আসা যাত্রীদের জন্য করণীয় :
# এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাওয়ার সময় সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন না।
# গাড়িতে করে বাসায় যাবেন এবং মাস্ক ব্যবহার করবেন।
# যেহেতু 1 মিটার দূরত্বের মধ্যেই coronavirus সংক্রমণ হতে পারে সেহেতু এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার জন্য বেশি লোক যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
# বিদেশ থেকে যিনি এসেছেন তারমধ্যে করোনাভাইরাস না থাকলেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
# আক্রান্ত দেশ হতে দেশে প্রবেশের সময় অথবা আক্রান্ত দেশের ট্রানজিট হয়ে আসার সময় বিদেশ ফেরত ব্যক্তি কমপক্ষে 14 দিন নিজের বাড়িতেই থাকুন।
# অত্যাবশ্যকীয় নাহলে নিজের বাড়ি থেকে বের হবেন না যদি বের হতেই হয় তাহলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
# জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন এবং নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধোবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্বের সকল ক্ষতিগ্রস্ত দেশ সমূহের চিকিৎসকেরা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করেছে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কার না হয় ততদিন পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই একমাত্র করণীয়।
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box