Global financial integrity এর বাংলাদেশ প্রতিবেদন |
Gfinancial integrity ( GFI ) এর তথ্য মতে ( ২০০৭-২০১৫ ) ৭ বছরে দেশ থেকে প্রাচার হয় ৪.৫০ লক্ষ কোটি টাকা । Global financial integrity ( GFI ) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ৭ বছরে গড়ে ৬৪০০০ কোটি টাকা আমদানি রপ্তানির আড়ালে অবৈধভাবে প্রতিবছর প্রচার করা হয় । যার মধ্যে ২০১৫ সালেই প্রচার করা হয় ১ লক্ষ কোটি টাকা ।
বিশ্বজুড়ে অর্থপাচারের বিশ্লেষণ তুলে ধরাই (GFI ) এর কাজ । তারা জানিয়েছে গত ২ বছর ধরে বাংলাদেশ তাদের কোন আমদানি-রপ্তানির তথ্যই দিচ্ছে না । গত এক দশক ধরেই তারা এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। গত মঙ্গলবার সর্বশেষ যে তথ্য এসেছে তাতেই ১৩৪ টি উন্নয়নশীল দেশের প্রতিবেদন রয়েছে ।
উন্নত দেশে হতে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয় আমদানি রপ্তানি পণ্যের প্রকৃত দাম গোপন করে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশে পণ্য বেচাকেনার যে প্রকৃত তথ্য বা কাগজপত্র দিয়েছেন তার ১৯ শতাংশর বেশিই ভুয়া । আমদানিতে বেশি আর রফতানিতে কম দেখিয়ে ২০১৫ সালে গায়েব করা হয়েছে ১১৫১ কোটি ডলার যা দেশীয় মুদ্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
Global financial integrity ( GFI ) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আরালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৫২৭০ কোটি ডলার যা দেশীয় মূল্যে ৪.৫০ লক্ষ কোটি টাকা । অর্থাৎ প্রতি বছরে গড়ে ৬৪০০০ কোটি টাকা আমদানি রপ্তানির আড়ালে অবৈধভাবে প্রচার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় সবথেকে বেশি টাকা পাচার হয় কলকারখানার মেশিন, যন্ত্রপাতি, খনিজ জ্বালানি কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানির সময়। এসব আমদানির সময় ভাউচারে উল্লেখিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি মূল্য দেখানো হয়। আর রফতানির ক্ষেত্রে দাম দেখানো হয় অনেক কম। এই প্রক্রিয়ায় দেশ থেকে পাচার করা হয় কোটি কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি রাজস্ব বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
বাণিজ্যের ভুয়া তথ্য দিয়ে অর্থ পাচারের প্রক্রিয়া ঠেকাতে বাংলাদেশকে নজরদারি বাড়ানোর উপদেশ দিয়েছে
Global financial integrity (GFI )
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box