crusade war |
ইতিহাস ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় যে দীর্ঘকাল ধরে খ্রিস্টান জগত মুসলমানদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। ইসলাম যখন আরবের সীমানা পেরিয়ে সামনে অগ্রসর হয় তখন সর্বপ্রথম রোম সম্রাট এর সাথে মুসলমানদের মোকাবেলা হয়। এর ফলে খ্রিস্টানরা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই সময়ে মুসলমান ও খ্রিস্টান দের মধ্যে যে যুদ্ধ হয় ইতিহাস তাকে crusade নামে জানে।
crusade বলতে মূলত ধর্মযুদ্ধ কে বুঝায় অর্থাৎ তৎকালীন খ্রিস্টানদের ধর্মীয় নেতাদের স্বীকৃতির মাধ্যমে ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে যে যুদ্ধ হয়েছিল তাই হল ক্রুসেড। অবশেষে সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী ( মৃ: ৫৮১ হিজরি ) এই crusade যুদ্ধে জয়লাভ করেন এবং পবিত্র নগরী জেরুজালেম মুসলমানদের দখলে নেন।
কিভাবে কাগজি মুদ্রার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব বৈধভাবে সম্পদ চুরি করছে
যদিও মুসলমানদের নিকট জিহাদ একটি ইবাদত, কিন্তু খ্রিস্টানদের নিকট ধর্মের জন্য যুদ্ধ কোন ইবাদত নয়। পবিত্র বাইবেল বিকৃত করার পর খ্রিস্টানদের নিকট যুদ্ধ ও জিহাদ করার মর্যাদা কত বড় তা সম্পর্কে খ্রিস্টানরা জানতো না। তাদের ধর্মগ্রন্থ ইঞ্জিলের শিক্ষা হলো যদি তোমাদের কেউ এক গালে চড় মারেন তাহলে তোমরা অপর গাল এগিয়ে দাও। কিন্তু যখন মুসলিমদের মোকাবেলা করার সময় আসে তখন খ্রিস্টানরা বাধ্য হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে। সাথে সাথে এও ঘোষণা দেয় যে যারা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তারা মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতে যাবে এবং ধর্মীয় ভাবে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে খ্রিস্টানরা এই যুদ্ধের জন্য চাঁদা তুলতে থাকে। যারা চাঁদা দিবে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের চাঁদা বাক্সে পড়ার পূর্বে সে জান্নাতি হয়ে যাবে। খৃষ্টানদের ধর্মীয় নেতাদের এমন মৌখিক স্বীকৃতির ভিত্তিতেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম বড় ধর্মযুদ্ধ crusade.